বাংলাদেশে সামগ্রিক অর্থনীতির মতো কৃষিতেও রূপান্তর ঘটছে। অল্প জায়গা নিয়েও উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ দশে ২২টি কৃষিপণ্য স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে চাল, মসুর ডাল, আলু, পেঁয়াজ, চায়ের মতো পণ্য যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফল। গত এক দশকে কুমড়া, ফুলকপি ও সমজাতীয় সবজির মতো কিছু পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ শীর্ষ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে। তবে মাথাপিছু ভোগের হিসাবে চাল ও আলু ছাড়া অন্যান্য ফসলে বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে। এমন অবস্থায় কৃষিতে জৈব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের এ ক্রান্তিকালে বিশ্বব্যাপী জৈবখাদ্য বা অর্গানিক পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। ফলে অর্গানিক পণ্য উৎপাদন ও রফতানির ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। টেকসই কৃষিব্যবস্থা নিশ্চিত করতে উৎপাদনের পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তায় জৈব প্রযুক্তি প্রয়োগের বিকল্প নেই বলে মনে করছেন তারা।
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের (এসআরডিআই) গবেষণা বলছে, মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারসহ ৯ কারণে দেশের প্রায় ৭৯ শতাংশ কৃষি জমিতে জৈব পদার্থের সংকট দেখা দিয়েছে। ফসলি জমিতে যেখানে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ জৈব পদার্থের মিশ্রণ থাকার কথা, সেখানে ২ শতাংশ পাওয়া গেছে। এতে জমির উর্বরা শক্তি নষ্ট হচ্ছে, যা ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে এক বিরাট হুমকি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর প্রধান কারণ হলো উত্তরোত্তর ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি, উচ্চফলনশীল জাতের ফসলের সম্প্রসারণ ও মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সারের প্রয়োগ।
বিশ্ব জৈব কৃষি ২০২১: পরিসংখ্যান ও দ্রুত বর্ধনশীল প্রবণতা’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা বিশ্বে এখন ৫৭ দশমিক ৮ মিলিয়ন জমিতে অর্গানিক চাষাবাদ হচ্ছে, যা মোট জমির ১ দশমিক ২ শতাংশ। এশিয়া মহাদেশে সার্বিক অর্গানিক চাষাবাদের হার দশমিক ৩ শতাংশ। এ অঞ্চলে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে চীন ও ভারত। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু বাংলাদেশের অবস্থান সবচেয়ে খারাপ।
অর্গানিক চাষাবাদে বাংলাদেশের তুলনায় এগিয়ে ভুটান, নেপাল ও পাকিস্তান। বাংলাদেশে মাত্র ৮ হাজার হেক্টর জমিতে অর্গানিক চাষাবাদ হচ্ছে। অথচ দেশে সব ধরনের আবাদি, বনভূমি, নদী, লেক, সংরক্ষিত বনাঞ্চল, সুন্দরবনসহ বিভিন্ন এলাকা মিলিয়ে জমির পরিমাণ ১ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার হেক্টর।
এ বিষয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পল সময় সংবাদকে বলেন, ‘বাংলাদেশের যে আবহাওয়া তাতে উচ্চ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার কারণে মাটির মাইক্রো অর্গানিজম ভেঙে যায়। আমরা মাটিতে জৈব উপাদান খুব কম প্রয়োগ করি। জৈব হিসেবে যে গোবর ব্যবহার করা হতো তা এখন জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কম্পোস্ট যে উপাদান যেমন: ধানের খড় ধান তুলে ফেলার পর মানুষ সেটি এখন কেটে নিয়ে আসে গোখাদ্য কিংবা জ্বালানির জন্য। কাজেই আমরা মাটিকে অন্যান্য জৈব উপাদান তো দিই-ই না; উপরন্তু চাষ শেষে প্রাকৃতিকভাবে মাটি যে উপাদান পাওয়ার কথা সেগুলোও আমরা সরিয়ে নিচ্ছি।
সে ক্ষেত্রে আমরা সবসময়ই বলি, সারের একটি অংশ অর্গানিক দিয়ে সাপ্লিমেন্ট করতে হবে। সেটি খুব কম পরিমাণে হোক। হতে পারে ৮০ শতাংশ কেমিক্যাল দিয়ে ২০ শতাংশ জৈব উপাদান যোগ করতে হবে। যদি এভাবে আমরা দিতে থাকি সেটা আমাদের মাটির স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী হবে’, যোগ করেন তিনি।
অলোক কুমার বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এখন নিয়মিত বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। কখনও অসময়ে বৃষ্টি হচ্ছে। কখনও প্রচণ্ড খরা যাচ্ছে। এর ফলে মাটিতে জৈব উপাদান মারাত্মকভাবে ভেঙে যাচ্ছে। ফলে জলবায়ুর কারণে মাটির আরও বেশি ক্ষতি হচ্ছে। এর থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে, ধনচে গাছ চাষ করে দুই থেকে আড়াই ফুট উচ্চতা আসার সময় মাটিতে মিশিয়ে দিলে মাটির স্বাস্থ্য ভালো হয়। তবে এটি সম্ভব না হলে কম্পোস্ট অথবা ভার্মি কম্পোস্ট জমিতে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে যোগ করার পরামর্শ দেন এ বিশেষজ্ঞ।
মাটির স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বায়োচারের ব্যবহার বাড়ানো যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি। এ বিশেষজ্ঞ বলেন, বায়োচার ফার্টিলাইজার’ বা ‘কার্বন সমৃদ্ধ জৈব সার’ মাটির খরা, অম্লত্ব ও লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণ করে মাটির স্থায়ী স্বাস্থ্যরক্ষা করে এবং মাটির বিষাক্ত আর্সেনিক, ক্রোমিয়াম, সিসা ইত্যাদি ফসলে ঢুকতে বা আসতে দেয় না। ফলে ফসলের উৎপাদন ও গুণগত মান বাড়িয়ে কৃষকের আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়া মাটিতে বসবাসকারী অণুজীবের সংখ্যা শতগুণ বাড়িয়ে দেয় এবং মাটির পানি ধারণক্ষমতা পাঁচ গুণ বৃদ্ধি করে, যা রাসায়নিক সারের ব্যবহার ৩৫-৪০ শতাংশ কমাতে পারে।
সারা বিশ্বে এখন কার্যকর উপায় হিসেবে বায়োচার ব্যবহার হচ্ছে। আমাদের দেশে এর উচ্চমূল্য হওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ পেতে সরকারি প্রজেক্ট বা অনুদানের প্রয়োজন আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মাটিতে অর্গানিক উপাদান বাড়লে মাইক্রো অর্গানিজম বা অণুজীবের পরিমাণ বাড়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অণুজীব না থাকলে ইউরিয়া কিংবা ফসফরাস ভেঙে আয়নে ট্রান্সফার হবে না। এটি না হলে গাছ খাবার গ্রহণ করতে পারে না। মাটির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অণুজীব ও জৈব উপাদান দুটোকেই বাঁচাতে হবে। কৃষিতে কেমিক্যাল সারের ব্যবহার কমিয়ে ন্যানো ফার্টিলাইজার ব্যবহারেরও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
অলোক কুমার বলেন, ‘সারা বিশ্বে ইউরিয়া সারের ৩০ শতাংশের ওপরে কোনো কার্যকারিতা নেই। আমরা যা দিই তার ৩০ শতাংশ গাছ গ্রহণ করে। বাকি ৭০ শতাংশ নষ্ট হয়। যেটা পরিবেশের ক্ষতি করে। সারা বিশ্বে এর ব্যবহার শুরু হলেও আমাদের দেশের সরকার এখনও এটিকে অ্যাপ্রুভ করেনি। গবেষণার কাজে বিভিন্ন দেশ থেকে এনে পরীক্ষামূলকভাবে এর ব্যবহারে সফলতা পাওয়া গেছে।’
বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিভিত্তিক দেশ হওয়ায় কর্মসংস্থান তৈরিতে কৃষিক্ষেত্র সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে। প্রতিকূল জলবায়ুর সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে বিশাল জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণের জন্য বর্তমান উৎপাদনকে বৃদ্ধি করতে হবে। এ জন্য বন্যা, খরা, লবণাক্ততা এবং বিভিন্ন জলবায়ু পরিবর্তন প্ররোচিত দুর্যোগ মোকাবিলায় চাপসহনীয় শস্যজাত বিকাশে জৈব প্রযুক্তির অবদান অনেক বেশি বলে মনে করেন জৈব কৃষি গবেষক ও কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. নাজিম উদ্দিন।
তিনি সময় সংবাদকে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনে ইন্ডাস্ট্রি ও কৃষি দুটোই প্রভাব ফেলছে। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্টিলাইজার উৎপাদনে ভূমিকা রাখে। যেমন: ইউরিয়া, নাইট্রোজেন, পিএইপি যখন মাটিতে প্রয়োগ হয় তখন কৃষি থেকেও গ্রিনহাউস গ্যাস ইমিশন হয়। ইন্ডাস্ট্রি থেকে গ্যাস ইমিশন কমাতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্টিলাইজারের ব্যবহার কমাতে হবে। তাহলে ধীরে ধীরে কৃষিখাত থেকে যে ইমিশন তা কমে আসবে। কিন্তু উৎপাদন ঠিক রাখতে চাইলে বিকল্প হিসেবে অর্গানিক ফার্টিলাইজারে নির্ভরতা বাড়াতে হবে।
প্রশ্ন হলো, এটা সম্ভব কি না? মাটিকে অর্গানিক সোর্স থেকে খাবার সরবরাহ বাড়াতে হবে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ইউরিয়া থেকে ১০ কেজি নাইট্রোজেন দেয়ার বদলে অর্গানিক সোর্স থেকে একই পরিমাণ নাইট্রোজেন দেয়া সম্ভব। এতে যে সুবিধা হবে তা হলো, এক কেজি গোবরে সালফার, নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম, ফসফরাসসহ ১৭টি উপাদান যোগ হতে পারে। তার সঙ্গে মাটির স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে অণুজীব যোগ হয়।
মাটির স্বাস্থ্য ঠিক রাখা গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষের স্বাস্থ্যের সঙ্গে মাটির স্বাস্থ্যের সরাসরি যোগসূত্র আছে। অণুজীবের মাধ্যমে গাছ যেটি গ্রহণ করবে সেটিই মানুষের শরীরে ব্যাক করে। গাছ যদি পুষ্টি না পায় সে পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে না। যার প্রভাব মানুষের শরীরে পড়ে। অর্গানিক কৃষিতে ২৫ থেকে ২০০ শতাংশ বেশি পুষ্টি পাওয়া সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের শক্তির জায়গা হলো আমাদের মোট কৃষকের ৯০ শতাংশ ক্ষুদ্র কৃষক। অর্থাৎ একজন কৃষকের যদি দুই হেক্টরের কম জমি থাকে, তাহলে সে ক্ষুদ্র চাষি। ছোট জমিকে ম্যানেজ করা সহজ। যে কারণে আমাদের দেশে জৈব প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটানোও সহজ। আর সেটি কমিউনিটি বেজড করা হলে সামগ্রিক উৎপাদন বাড়বে। আগামী দিনে বাংলাদেশসহ যেসব ক্ষুদ্র কৃষির দেশ রয়েছে তাদের জন্য জৈব কৃষি একটি বড় সম্ভাবনা। কৃষির ক্ষেত্রে যে ৩০ শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের জন্য দায়ী করা হয়, জৈব কৃষির মাধ্যমে তা ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব।’
জীববৈচিত্র্য বাড়াতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে পানির সংকট রয়েছে। সেখানে যদি অ্যাগ্রোফরেস্ট্রি বেজড ফার্মিং করা যায় অর্থাৎ একই জমিতে ফল, সবজি এবং ধান আবাদ করা যেতে পারে। ধানের জমিতে আমগাছ লাগিয়ে টোটাল কার্বন ইমিশন কমানো যায়। এ ধরনের ফার্মিং বাড়াতে হবে। কৃষিকে টেকসই করতে হলে জৈব প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই।
বাংলাদেশে জৈব কৃষির প্রসার বাড়াতে কী উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে এ গবেষক বলেন, ‘সার মূলত ধান ও সবজিতে বেশি ব্যবহার করা হয়। কৃষিতে জ্ঞানভিত্তিক উন্নয়ন করতে হবে। গবেষণা যেগুলো হয়েছে সেগুলোকে একত্রিত করে কমিউনিটি বেসিসে উদ্যোগ নিতে হবে। সারা বাংলাদেশে একবারে সম্ভব নয়। কৃষি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এগোতে হবে।
খাদ্য নিরাপত্তা মনে করি ধান চাষ। ধান ট্রেডিশনাল উপায়ে আবাদ হোক। পাশাপাশি সবজি, ফল, মসলা, ডালজাতীয় শস্যকে অর্গানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে মার্কেটে নেয়ার উদ্যোগ নিতে হবে। যখন কৃষকরা দেখবে এভাবে ভালো ফলন পাওয়া যায়, এবং মার্কেটে চাহিদা আছে, তখন তারা জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদে আগ্রহী হবে। শুধু উৎপাদন করলেই হবে না, বিপণনের জন্য মার্কেটিং চ্যানেল তৈরি করে দিতে হবে। এভাবে তারা ধান, আলু চাষেও উদ্যোগ নেবে। এভাবে কৌশলগতভাবে কাজ করলে আমরা ভবিষ্যতে পুরোপুরি অর্গানিক কৃষি পাব, যোগ করেন তিনি।
জৈব প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটিয়ে বাংলাদেশ নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনে কাজ করছে জানিয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কেশস চন্দ্র দাস সময় সংবাদকে বলেন, ‘তাপমাত্রা বাড়ার পাশাপাশি বন্যার প্রাদুর্ভাব বাড়ার শঙ্কা পৃথিবীব্যাপী একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়ছে কৃষিতে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। যে কারণে জৈব প্রযুক্তি ব্যবহার করে জেনেটিক্যালি মডিফাইড বা জেনোমেডিটেড শস্য ফলানোর ওপর আমাদের জোর দিতে হবে।
আমরা এখন খরা সহিষ্ণু ফসল, বিশেষ করে এ ধরনের ধান উৎপাদন নিয়ে কাজ করছি। যেসব অঞ্চলে খরা হয়, পানির পরিমাণ কম থাকে এবং উচ্চ তাপমাত্রায়ও যেন ফলন ভালো হয়; সেসব নিয়ে কাজ হচ্ছে। এ ছাড়াও বন্যা ও লবণাক্ততাসহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবনের জন্য জৈব প্রযুক্তি যেসব আছে; যেমন স্ট্যাজেনিক ক্রপ অর্থাৎ এক শস্যের জিন এনে অন্য শস্যে ঢোকানো। আরেকটি হলো জেনোমেডিটেড ক্রপ। এটি হলো অন্য কোনো জিনের পার্টিশন না করে শস্যের ভেতরেই জিনের এডিট করে আবহাওয়া সার্ভাইভ করার মতো উপযোগী করে তোলা, আমরা এগুলো নিয়ে কাজ করছি’, বলেন এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।