বোরো ধান বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধানের ফসল যা শীতকালীন মৌসুমে (রবি মৌসুম) চাষ করা হয়। এটি প্রধানত নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসে রোপণ করা হয় এবং এপ্রিল থেকে মে মাসে কাটা হয়। বোরো ধানের উৎপাদন বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় একটি বড় ভূমিকা পালন করে।
বৈশিষ্ট্য:
জলবায়ুর উপযোগিতা: বোরো ধানের চাষ মূলত সেচের উপর নির্ভরশীল এবং শীতল ও শুষ্ক পরিবেশে ভালো জন্মায়। বর্ধনকাল: বোরো ধানের গড় জীবনকাল ১৪০-১৬০ দিন। উৎপাদন: এটি উচ্চ ফলনশীল জাত (HYV) ও হাইব্রিড জাতের মাধ্যমে চাষ করা হয়, যা ফলন বেশি দেয়। উদাহরণ: BRRI dhan28, BRRI dhan29, হাইব্রিড জাত। জমি: নিম্নভূমি এবং পানির প্রাপ্যতা থাকা এলাকায় বোরো ধানের চাষ বেশি হয়।
উৎপাদনের ধাপ:
বীজতলা প্রস্তুত: উত্তম মানের বীজ দিয়ে বীজতলা তৈরি করা হয়। রোপণ: চারা গজানোর ২৫-৩০ দিনের মধ্যে চারা রোপণ করা হয়। সেচ ও পরিচর্যা: পর্যাপ্ত সেচ ও সার প্রয়োগ করা হয়। কাটা-মাড়াই: ধান পাকার পরে হাতে বা যান্ত্রিকভাবে ধান কাটা ও মাড়াই করা হয়।
বোরো ধানের সুবিধা
উচ্চ ফলন: অন্যান্য ধানের তুলনায় ফলন বেশি। খাদ্য নিরাপত্তা: বোরো ধানের উৎপাদন দেশের খাদ্য চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: উচ্চ ফলনশীল জাত রোগ ও পোকামাকড় প্রতিরোধী।
চ্যালেঞ্জ
1. সেচের জন্য অধিক পানির প্রয়োজন। 2.উৎপাদন খরচ বেশি। 3.পরিবেশগত প্রভাব, যেমন ভূগর্ভস্থ পানির মাত্রা হ্রাস।