জিংক সমৃদ্ধ জাতের ধান

জিংক সমৃদ্ধ জাতের ধান

জিংক সমৃদ্ধ জাতের ধান বিশেষভাবে পুষ্টির ঘাটতি মোকাবিলায় উদ্ভাবিত হয়েছে। বাংলাদেশে অপুষ্টিজনিত সমস্যাগুলোর মধ্যে জিংকের ঘাটতি একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। এই ধানের জাতসমূহ বিশেষভাবে জিংকের উচ্চ মাত্রা নিশ্চিত করে, যা মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।বাংলাদেশে মোট জিংক সমৃদ্ধ ধানের জাত ১০ টি। ব্রি উদ্ভাবিত ৭ টি বিনা উদ্ভাবিত ১ টি বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত ২ টি ব্রি ধান ৬২ ব্রি ধান ৬৪ ব্রি ধান ৭২ ব্রি ধান ৭৪ ব্রি ধান ৮৪ ব্রি ধান ১০০ ব্রি ধান ১০২ বি ইউ সুগন্ধি হাইব্রিড ধান ১ বি ইউ ধান ২ বিনা ধান ২০

জিংক সমৃদ্ধ ধানের জাতসমূহ

BRRI dhan62

জিংকের পরিমাণ: প্রতি কেজি চালে ১৯-২০ মিলিগ্রাম।
জীবনকাল: ১০০-১১০ দিন।
ফসলের মৌসুম: খরিফ-১ (গ্রীষ্মকালীন ধান)।
ফলন: প্রতি হেক্টরে ৪-৪.৫ টন।
বিশেষ বৈশিষ্ট্য: বন্যা-প্রবণ ও খরা প্রবণ অঞ্চলে চাষের উপযোগী।

BRRI dhan72

জিংকের পরিমাণ: প্রতি কেজি চালে ২২-২৪ মিলিগ্রাম।
জীবনকাল: ১৪৫-১৫০ দিন।
ফসলের মৌসুম: আমন (শরৎকালীন ধান)।
ফলন: প্রতি হেক্টরে ৫.৬ টন।
বিশেষ বৈশিষ্ট্য: উচ্চ ফলনশীল।

BRRI dhan74

জিংকের পরিমাণ: প্রতি কেজি চালে ২০-২২ মিলিগ্রাম।
জীবনকাল: ১৪৫-১৫৫ দিন।
ফসলের মৌসুম: আমন।
ফলন: প্রতি হেক্টরে ৫.৫ টন।
বিশেষ বৈশিষ্ট্য: নিম্ন-জমিতে চাষের উপযোগী।

BRRI dhan84

জিংকের পরিমাণ: প্রতি কেজি চালে ২৫ মিলিগ্রাম।
জীবনকাল: ১৪০-১৪৫ দিন।
ফসলের মৌসুম: বোরো (শীতকালীন ধান)।
ফলন: প্রতি হেক্টরে ৫.৭ টন।
বিশেষ বৈশিষ্ট্য: জিংকের সর্বোচ্চ ঘনত্ব যুক্ত জাত।

জিংক সমৃদ্ধ ধানের চাষাবাদের সুবিধা

পুষ্টির ঘাটতি পূরণ: শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের জিংকের অভাব দূর করে অপুষ্টিজনিত সমস্যা কমায়।
উচ্চ ফলন: কৃষকদের জন্য অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক।
জলবায়ু উপযোগী: বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়ার জন্য উপযুক্ত।
সহজলভ্য: প্রচলিত চাষাবাদ পদ্ধতিতে উৎপাদন করা সম্ভব।

উৎপাদনের চ্যালেঞ্জ

1.  চাষের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সচেতনতার অভাব।
2. কিছু ক্ষেত্রে ফলন তুলনামূলকভাবে কম হতে পারে।
3. উন্নত চাষাবাদের জন্য কৃষকদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।